হুমায়ুন আহমেদের ১৯৭১ একটি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপন্যাস (যা নাটক হিসাবে ও উপস্থান করা হয়েছে) । নাটকের নায়কের নাম আজিজ এবং নায়িকার নাম মালা| রফিক, নাটকটির আকর্ষণীয় একটি চরিত্র। যিনি অভিনয় করেছেন একজন রাজাকারের চরিত্রে। রাজাকার হলেও তিনি ছিলেন একজন মুক্তিবাহিনীর সদস্য। তিনি পাক বাহিনীকে ভুল পথে পরিচালিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধা করে দেন। দেশের জন্য করা তাঁর এই চাতুরী ধরা পড়লে তাঁকে হত্যা করা হয়।
নাটকটির পটভূমি, নাটকের শেষে ঘোষকের কন্ঠেই শোনা যায় - "১৯৭১ সনের ১১ই মে ময়মনসিংহের নীলগঞ্জে রফিক নামের একজন মানুষ কে গুলি করে মারে। ছোট এই মানুষটি পথ ভুলিয়ে নীলগঞ্জে নিয়ে আসে ওদের। এবং সেই খবর পৌঁছে দেয় EPR এর কাছে। পাকিস্থান মিলিটারীর পুরোদলটাকে ঘিরে ফেলে EPR এর সেনারা। পাকিস্থানী মেজর গুলি করে মারার আগে রফিক কে বলেছিলেন-
তোমার কি ধারনা এই দেশ তোমার বীরত্বের কথা মনে রাখবে? তোমাকে নিয়ে গল্প কাহিনী লেখা হবে? কাব্য লেখা হবে? কিছুই হবে না রফিক। তোমাকে কেউ মনে রাখবেনা।
স্বাধিনতার কুড়ি বছর পর আমরা অবাক হয়ে দেখেছি-- মেজরের কথাই সত্যি হচ্ছে- আমরা কেউ কিছুই মনে রাখছিনা। চেষ্টা করছি সব কিছুই ভুলে যেতে। এমন ভাব করছি যেন ১৯৭১ বলে কোন সময় আমাদের জীবনে আসেনি। ঐ সময়টা যেন ইতিহাসের বাইরের কোন সময়। আর কতদিন এইভাবে চলবে?? "
তোমার কি ধারনা এই দেশ তোমার বীরত্বের কথা মনে রাখবে? তোমাকে নিয়ে গল্প কাহিনী লেখা হবে? কাব্য লেখা হবে? কিছুই হবে না রফিক। তোমাকে কেউ মনে রাখবেনা।
স্বাধিনতার কুড়ি বছর পর আমরা অবাক হয়ে দেখেছি-- মেজরের কথাই সত্যি হচ্ছে- আমরা কেউ কিছুই মনে রাখছিনা। চেষ্টা করছি সব কিছুই ভুলে যেতে। এমন ভাব করছি যেন ১৯৭১ বলে কোন সময় আমাদের জীবনে আসেনি। ঐ সময়টা যেন ইতিহাসের বাইরের কোন সময়। আর কতদিন এইভাবে চলবে?? "
0 comments:
Post a Comment
Thanks You, Soon we will come back to you.